শারদ নওশাদ আবদুল্লাহ, মোঃ তাকরিম হোসেন, মো. রাকিবুল মবিন, ফারহা তাসনীম, শাহরান হুসাইন অলিম্পিক গেমস বিশ্বের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম ক্রীড়া আসর। ইভেন্টগুলো যতটা উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার উদযাপন, তেমনি সেগুলো মানবতা এবং ক্রীড়া শ্রেষ্ঠত্বেরও উদযাপন। আর একটি বড় ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজন করা আয়োজক দেশের জন্য অর্থনৈতিক এবং সামাজিক, উভয় সুবিধা বয়ে আনে। অলিম্পিক গেমস আয়োজন করাকে সর্বদাই একটি জাতীয় গর্বের বিষয় বলা হয়ে থাকে। তবে ১৯৬০-এর রোম অলিম্পিক গেমস থেকে শুরু করে চলমান টোকিও অলিম্পিক গেমস পর্যন্ত কিছু উদাহরণ বাদে প্রতিটি অলিম্পিকই দেখেছে আর্থিক ক্ষতির মুখ। তারই প্রতিলফন দেখা যাচ্ছে দিনে দিনে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হতে থাকা আগ্রহী আয়োজক শহরের তালিকার দিকে তাকালে। যেখানে ২০০৪ সালের গেমসে, যা এথেন্সে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, আয়োজনের জন্যে প্রার্থী শহর ছিলো মোট ১১ টি, সেখানে ২০২৪ সালের আসরের জন্য প্রার্থী শহরের সংখ্যা ছিল মাত্র দুটি। এছাড়াও ২০১৬ রিও অলিম্পিক এবং ২০২০ টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লক্ষ্য করা গেছে আয়োজক দেশের জনগণের পক্ষ থেকে।
জাতীয় গর্ব এবং ভূ -রাজনৈতিক অঙ্গনে আয়োজক দেশ ও শহরের মর্যাদা বৃদ্ধির একটি বিষয় থাকলেও অলিম্পিক আয়োজনের পেছনে একটি শহরের মূল উদ্দেশ্য সর্বদাই অর্থনৈতিক লাভ। অলিম্পিক আয়োজনের ফলে মিডিয়ার উপস্থিতি বৃদ্ধি হয়ে দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা হতে পারে পর্যটন, শহুরে পুনঃজাগরণ এবং আয়োজক দেশের জন্য মানব সম্পদ গঠনের ক্ষেত্রে।
1 Comment
|
Send your articles to: |