শামরী রহমান, তানভীর আহম্মেদ ডিজাইন: ফারহা তাসনীম “চরকায় সম্পদ, চরকায় অন্ন,
বাংলার চরকায় ঝলকায় স্বর্ণ! বাংলার মসলিন বোগদাদ রোম চীন কাঞ্চন-তৌলেই কিনতেন একদিন।” সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা “চরকার গানের” এই চরণগুলো যে কিংবদন্তী ঢাকাই মসলিনের নিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ‘মসলিন’ শব্দের উৎপত্তির উৎস অস্পষ্ট। খুব সম্ভবত ইউরোপীয়দের মসুল থেকে আমদানিকৃত কাপড় ও প্রাচ্যের দেশগুলোর মসুল হয়ে আনা কাপড়ের সুত্র ধরেই এই মসলিন নামকরণ। মসলিনের প্রাচীন নাম “গঙ্গাপট্টাহি”। মসলিন সব তুলা থেকে তৈরি করা যায় না, উৎকৃষ্ট মানের মসলিনের জন্য দরকার হয় বিশেষ ধরনের তুলা যার নাম ‘ফুটি কার্পাস’। এই ‘ফুটি কার্পাস’ আবার সব জায়গা পাওয়া যায় না,তবে ইতিহাস ঘেটে জানা যায় উৎকৃষ্টমানের মসলিন তৈরির জন্য প্রসিদ্ধ কয়েকটি এলাকা ছিল- বর্তমান ঢাকা জেলার ঢাকা ও ধামরাই, গাজীপুর জেলার তিতাবদি, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এবং কিশোরগঞ্জ জেলার জঙ্গলবাড়ি ও বাজিতপুর।বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে মোট ২৮ প্রকারের মসলিন কাপড় উৎপাদনের কথা জানা যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল- মলমল (সূক্ষ্মতম বস্ত্র), ঝুনা (স্থানীয় নর্তকীদের ব্যবহূত বস্ত্র),আবি-রাওয়ান (প্রবহমান পানির তুল্য বস্ত্র), শবনম (ভোরের শিশির),বদন-খাস (বিশেষ ধরনের বস্ত্র), জামদানি (নকশা আঁকা) ইত্যাদি। বর্তমানে যেটা জামদানী হিসেবে পরিচিত তখন এটি ছিল নকশা করা নিম্নমানের মসলিন আর সবচেয়ে সূক্ষ্ম মসলিনের নাম ছিল “মলমল” বা “মলমল খাস”। এই ব্লগে থাকছে মসলিনের পরিচয়, ব্যবহার, ইতিহাস উপাখ্যান, বিলুপ্তি ও এর পুনঃজন্ম। এছাড়াও বর্তমানে নতুন করে মসলিনের উৎপাদন ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর সুদূর প্রসারি ভূমিকা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
0 Comments
Lubaba Mahjabin PrimaCover design: Mubasher H Chowdhury In May last year, when the container ship Evergreen got stuck in the Suez Canal and halted the interconnected global trade for almost a week, the issue of Suez Canal came to the forefront. But given that the canal is the fastest sea route between Asia and Europe, this wasn’t the first time that the canal was the center of international attraction. What then, was the economic and political significance of this canal over the years?
|
Send your articles to: |