রুবায়েত আলম ১৯৪৩ সাল নাগাদ ৬৩,০০০ জাল নোট ছাপায় জার্মানরা যার বাজার মূল্য ছিল ১৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড। আজকের দিনে এর মূল্য ৩ বিলিয়ন পাউন্ড। পাউন্ডের পর বার্নহার্ড নকল ডলার তৈরিতেও কয়েদিদের চাপ দিতে থাকে। অ্যালগরিগম ভাঙতে সক্ষম না হওয়ায় ২০টি নম্বরবিহীন ডলার তৈরি করে পরীক্ষার জন্য ব্যাংকারদের কাছে পাঠান মেজর বার্নহার্ড। কারেন্সি কন্সপিরেসি সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলো সব সময়ই নতুন নতুন ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। এমনকি ঘটে যাওয়া বিশ্বযুদ্ধেও এর যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায় কিভাবে অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে দেশে দেশে দাঙ্গা- হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হয়। কাউন্টারফিট মানি বা জাল মুদ্রা বাজার দখল করে ফেললে যেকোনো পরিস্থিতিতেই ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরী হয়। পণ্য লেন-দেনের ক্ষেত্রে বিক্রেতা তার পছন্দসই মুদ্রাকে এমন কোনও জায়গায় প্রতিস্থাপন করে যা অনুলিপি করা শক্ত। একটি অনুরূপ প্রক্রিয়া জাল কাগজ মুদ্রা ধরে রাখে। লোকেরা আমাদের পণ্য অথবা পরিসেবা বিক্রয় করার ক্ষেত্রে অর্থ গ্রহণ করার কারণ হলো কাগজের মুদ্রা বৈধ হিসাবে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নকল ডলারগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবে লোকজন ডলারকে বাণিজ্য গ্যারান্টি হিসাবে প্রত্যাখাত করবে এবং তারা বিশ্বাস করতে পারে এমন কিছু যা জাল করা আরও শক্ত, এমনকি সম্ভবত ইউরো হিসাবে প্রতিস্থাপন করবে। এই কারণেই মুদ্রাগুলির এতগুলো সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য রাখা হয়। কিন্তু নকল নোট একটি দেশের অর্থনীতিকে কীভাবে কাবু করতে পারে? দেখে নেয়া যাক। প্রথমত, কোনো দেশই প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা ছাপায় না। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্বর্ণের মজুদের উপর ভিত্তি করে টাকা ছাপানো হতো। বর্তমানে ছাপানো হয় মোট জিডিপির ২-৩%। অতিরিক্ত টাকা ছাপালে টাকার প্রবাহ বাড়বে, কিন্তু পণ্য সরবরাহ থাকবে আগের মতোই। ফলে অতিরিক্ত অর্থধারীরাই তা ভোগ করতে পারবে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিবে। একপর্যায়ে সেখান থেকেই দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে। দ্বিতীয়ত, নোট বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। নকল নোটের জন্য রাতারাতি নিঃস্ব হবে অনেকেই। টাকার প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। সচল অর্থনীতি নিমিষেই দুমড়ে মুচড়ে যাবে। জাল টাকার উৎস নকল মুদ্রা প্রায় দীর্ঘকাল ধরে মুদ্রা হিসাবে প্রচলিত ছিল। এর প্রথম উদাহরণগুলোর একটি হলো আমেরিকান উপনিবেশগুলোর ভিত্তি স্থাপনের সময় যখন স্থানীয় আমেরিকানরা মুদ্রার ফর্ম হিসাবে wampum নামে পরিচিত শেল বাণিজ্য করত। এগুলা হলো নীল-কালো শাঁস যা আরও বিরল ছিল, ফলে সাদা অংশগুলির চেয়ে বেশি মূল্য ছিল এসব শাঁসের। ফলস্বরূপ, কিছু ব্যবসায়ী সাদা শেলগুলো নীল-কালো রঙে পরিবর্তন করল এবং এগুলো উচ্চ মূল্যে বাজারে ছাড়ল । জাল মুদ্রার প্রারম্ভিক ইতিহাস ইতিহাসের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জাল টাকা উৎপাদক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন যদিও কিছু ব্যক্তিকে তাদের অপরাধের জন্য মূল্য দিতে হয়েছে। ৫ম শতাব্দীর দিকে আলেকজান্ডার বার্বার খ্যাতিমান মুদ্রা জালিয়াতিদের অন্যতম ছিলেন। তিনি বাস্তবে এতটাই সুপরিচিত হয়েছিলেন যে সেই সময়ের শাসক সম্রাট জাস্টিনিয়ান তাকে শাস্তি না দিয়ে তার পরিবর্তে তাঁকে রাজ্য অর্থ বিভাগে নিযুক্ত করেছিলেন। অপারেশন বার্নহার্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পূর্বে সবার অগোচরে নাৎসি জার্মানি ব্রিটেনকে ধরাশায়ী করতে অর্থনীতির দূর্বল জায়গাটি বেছে নেয় যা হলো মানি কাউন্টারফিট বা মুদ্রা জালকরণ। তারা উপলব্ধি করে যে যুদ্ধে শুধু বড়সড় সেনাবহর বানালেই চলবে না, তাদের ভরণপোষণ করার মতো শক্তিশালী অর্থনীতি থাকতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নকল পাউন্ড ব্রিটিশ বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার এই পরিকল্পনা ১৯৩৯ সালে প্রথম করা হয়। তখনও যুদ্ধ শুরু হয়নি। জার্মান অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান আর্থার নেব প্রভাবশালী নাৎসি নেতা গোয়েবলসকে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রথম জানান। অর্থমন্ত্রী ওয়াল্টার ফ্রাঙ্ক এটাকে আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ হবে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু হিটলারেরও ভালো লেগে যায় এই পরিকল্পনা। শুরু হয় অপারেশন। ১৯৩৯ সালের নভেম্বর গ্রিসের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে একজন জার্মান-সোভিয়েত ডাবল এজেন্ট এই ভয়াবহ পরিকল্পনার ব্যাপারে সতর্ক করেন। তাই অতিদ্রুত ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন ছাপানো নোটে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। হিটলারের সম্মতিতে নেবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রেইনহার্ড হাইড্রিক পুরোদমে জাল পাউন্ড তৈরির কাজে লেগে পড়েন। এসএস বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা Sicherheitsdienst এর আওতায় প্রথম জাল নোটের কারখানা স্থাপন করা হয়। গণিতবিদ, ব্যাংকার এবং নোট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হয় এ কাজের জন্য। পাসপোর্ট, বিভিন্ন দলিল, সিল নকল করলেও এই দলটির মূল লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ নোটকে নিখুঁতভাবে নকল করা। ৭ মাস প্রাণপণ চেষ্টা করে ৩ মিলিয়ন মূল্যমানের নোট উৎপাদন করে এই দলটি। কিন্তু এই নোটগুলো নিখুঁত ছিল না এবং এদের সহজেই নকল হিসেবে শনাক্ত করা যেত। প্রজেক্ট ডিরেক্টর আলফ্রেড নওজক্সের উপর ভরসা হারান হিটলার। এসএস বাহিনীর মেজর বার্নহার্ড নতুন করে দায়িত্ব পান। শুরু হয় অপারেশন বার্নহার্ড। নকল ১৩৪ মিলিয়ন ডলার জাল মুদ্রা তৈরি হয়েছিল, যা তখনকার সময়ে প্রচলিত সমস্ত ব্রিটিশ মুদ্রার ১০% এর সমান ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৫.২ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ছিল যা মুদ্রাস্ফীতিতে রূপ নেয়(ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড হিসেবমতে)। ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বরে কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৬ জন ইহুদী কয়েদিকে Sicherheitsdienst জাল টাকা কারখানায় নিয়ে আসেন মেজর বার্নহার্ড। সব ধরনের উপকরণ পাবার পরেও রাতদিন খেটে এই দলটি বুঝতে পারছিল না ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কোন কাগজে টাকা প্রিন্ট করে। দুর্লভ কোনো গাছের পাতা ব্যবহার না করে সাধারণ মানের লিনেন থেকে কাগজ উৎপন্ন করতো তারা। আর এই লিনেন আসতো পুরনো মেইল ব্যাগ থেকে। কিন্তু একই পদ্ধতি ব্যবহার করেও জার্মানরা একই কাগজ পাচ্ছিল না। কয়েদিদের মধ্যে সেরা জালিয়াত ছিলেন সলোমন। তিনি প্রথম রহস্যভেদ করলেন। কাগজে সামান্য পরিমাণে তুরস্কের শন মেশাতো ব্রিটেন। ব্রঞ্চউইগের কাগজ কারখানা থেকে ১২,০০০ পেপার শিট তৈরি হয়। জার্মানদের কালি কাগজ থেকে চুইয়ে পড়তো, তাই কালির উপাদানগুলোও বের করে এনে দ্বিতীয় সমস্যার সমাধান করেন বিশেষজ্ঞরা। শেষ বাধা ছিল নোটের নম্বরের অ্যালগরিদম। এলোমেলো মনে হলেও এই নম্বরগুলো একটি প্যাটার্ন বহন করতো, যেটা থেকে নির্ধারণ করা সম্ভব টাকা আসল কী নকল। অনেকটা এখনকার ফোনের রিচার্জ কার্ডের মতো। অ্যালগরিদমও ভাঙতে সক্ষম হন গণিতবিদরা। ১ বছরের মধ্যে পাউন্ড নকল করতে সক্ষম হয় বন্দীরা। একটি পেপার শিটে চারটি করে নোট প্রিন্ট করা যেত। নোট উৎপাদনের পর সেটাকে বারবার ভাঁজ করে একটু পুরনো রুপ দেয়া হত। ইচ্ছা করেই হালকা ময়লার আস্তরণ ফেলা হতো। ব্রিটিশরা নোটের উপরে বাম কোনায় পিন দিয়ে টাকার বান্ডিল আটকে রাখত। তাই বারবার পিন দিয়ে টাকা ছিদ্র করা হতো। বন্দিরা সেই সময়ের উচ্চ-মুদ্রা মুদ্রকগুলির মতো একই কৌশলগুলো ব্যবহার করেছিল যার মধ্যে ওয়াটারমার্ক, বিশেষ কাগজ, খোদাই করা প্লেট এবং প্রকৃত ব্রিটিশ মুদ্রাগুলোতে ব্যবহৃত সমস্ত একই সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য ছিল। মূলত, পরিকল্পনাটি ছিল বিমানগুলি থেকে জাল নোটগুলো ব্রিটিশ পল্লী অঞ্চলে ফেলে দেওয়া। ল্যান্ডস্কেপটি সর্বোপরি অর্থ-বোমা হওয়া শেষ হয়নি, তবে জার্মান গুপ্তচররা ইংল্যান্ডে অল্প পরিমাণে জাল নগদ ছেড়েছিল। একটি ভিন্ন কৌশল হিসেবে বেছে নেওয়া, জার্মান যুদ্ধের প্রচেষ্টার জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য স্পেনের মতো নিরপেক্ষ দেশগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রতারণামূলক মুদ্রা ছাড়া হয়েছিল। পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, ইউরোপীয় মহাদেশে মিত্রবাহিনীর সৈন্যদের সাফল্যের ফলে নকল বিলগুলি আরও ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ছড়িয়ে পড়ার একটি উদাহরণ হলো যে ক্ষেত্রে সৈন্যরা তাদের জাল ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য কালো বাজারে সরবরাহ করত (প্রায়শই ছাড় ছিল) যা যুদ্ধের সময় এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার পথ খুঁজে পায়। যুদ্ধে টালমাটাল ইউরোপবাসীর ব্যাংকিংয়ে বিশ্বাস এবং আস্থা ছিল সুইস ব্যাংকগুলোর উপর। অস্থিতিশীল সময়ে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু নিরাপদে রাখতে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোর দ্বারস্থ হতে শুরু করে দু'পক্ষের লোকজনই। জার্মান এজেন্টরা গ্রাহক সেজে সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা করতে শুরু করে নকল পাউন্ড। সুইস ব্যাংকের নিরাপত্তাকে বোকা বানিয়ে নোট চলে যায় ভল্টে। খুঁতখুঁতে কিছু গ্রাহকবেশী এজেন্ট জানতে চাইলেন তাদের রাখা নোটগুলো আসল কি না। ব্রিটেনে পাঠানো হয় নোটগুলো পরীক্ষা করতে। ব্রিটেনও জানায়- নোটগুলো নির্ভেজাল। ১৯৪৩ সাল নাগাদ ৬৩,০০০ জাল নোট ছাপায় জার্মানরা যার বাজার মূল্য ছিল ১৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড। আজকের দিনে এর মূল্য ৩ বিলিয়ন পাউন্ড। পাউন্ডের পর বার্নহার্ড নকল ডলার তৈরিতেও কয়েদিদের চাপ দিতে থাকে। অ্যালগরিগম ভাঙতে সক্ষম না হওয়ায় ২০টি নম্বরবিহীন ডলার তৈরি করে পরীক্ষার জন্য ব্যাংকারদের কাছে পাঠান মেজর বার্নহার্ড। যাইহোক, শেষমেষ এই অপারেশন বার্নহার্ড সম্পূর্ণ সফল না হলেও এটা ব্রিটিশদের বেশ ভুগিয়েছিল। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যে পণ্য আমদানি আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে কারণ মহাদেশীয় ইউরোপের লোকেরা পাউন্ডকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। কারেন্সি রি-ডিজাইনস দিয়ে জাল বিল লড়াই ১৯৯৫ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আধুনিক দিনের জালিয়াতিদের থেকে এগিয়ে থাকার প্রয়াসে দেশটির মুদ্রার যথেষ্ট পরিমাণে নতুন নকশার ঘোষণা দেয়। প্রযুক্তি জাল অর্থকে প্রচলন থেকে দূরে রাখার জন্য উন্নতি করে, তবে প্রচুর পরিমাণে জাল টাকা তখন বিদ্যমানও ছিল। ২০০০ সালের শুরুর দিকে এটি অনুমান করা হয়েছিল যে ৬০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জাল টাকা প্রচলন থেকে সরানো হয়েছিল। বৈধ মুদ্রা প্রতিষ্ঠার আধুনিক কৌশলের মধ্যে রয়েছে উচ্চমানের মুদ্রণ, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ট্রেজারি দ্বারা সীলমোহর, মুদ্রিত সিরিয়াল সংখ্যা এবং একটি খুব নির্দিষ্ট প্রকারের কাগজ যা ক্ষুদ্র লাল এবং নীল আঁশ জুড়ে এম্বেড করা থাকে। এমনকি ফেডারেল মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত কাগজের পুনরুৎপাদনকে একটি অবৈধ আইন হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে জালিয়াতিগুলি মুদ্রণ প্রক্রিয়ায় সূক্ষ্ম লাল এবং নীল বিন্দু ব্যবহার করে উপাদানটির রঙ প্রতিলিপি করার চেষ্টা করে। যাইহোক নকল টাকার দৌরাত্ম্য আজও বিভিন্ন দেশে দেখা যায় যার নিয়ন্ত্রণের অভাবে দেশে দেশে মারাত্মক অর্থনৈতিক অবনতি ঘটে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে আজ অবধি সিক্রেট সার্ভিস প্রতি বছর ১০ মিলিয়নেরও বেশি নকল ডলার পরিশোধনে নিয়োজিত থাকে। নকল মুদ্রা আজও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের জনগণের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণেই কাউন্টারফিট মানি ডিটেক্টর এত জনপ্রিয়। ব্যবসায়-বাণিজ্য জাল মুদ্রা কারবারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। কাউন্টারফিট মানি থেকে নিজেদের এবং গ্রাহকদের রক্ষা করা শুধু তাদের সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তথ্যসূত্র: https://www.quora.com/How-can-fake-currency-affect-the-economy-of-a-country https://www.itestcash.com/blogs/news/the-history-of-counterfeit-money https://roar.media/bangla/main/history/operation-bernhard https://insh.world/history/how-germany-almost-bankrupted-britain-in-ww2-by-creating-5-pound-notes/
0 Comments
Leave a Reply. |
Send your articles to: |