শারিকা সাবাহ জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি কভার ডিজাইনঃ অর্পিতা চক্রবর্তীএকবিংশ শতাব্দীতে অত্যাধুনিক, ব্যস্ত, প্রতিযোগিতায় লিপ্ত মানবজাতির উপর অভিশাপ হিসেবে আগত মহামারি করোনার প্রভাবে প্রতিনিয়তই মানুষ নতুন নতুন পরিস্থিতি ও ধারণার সম্মুখীন হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ক্ষেত্রে রিভার্স মাইগ্রেশন বা মানুষের প্রত্যাবর্তন তেমনই একটি নতুন ধারণা। যদিও এই ধারণাটির প্রচলন আগে থেকেই তবুও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এত বিপুল পরিমাণে মানুষের বিপরীতমুখী অভিবাসনের চিত্রটি বেশ নতুনই বটে। তাই স্থানীয় বা বৈশ্বিক অর্থনীতি, সামাজিক জীবন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এর সঠিক প্রভাব উপলব্ধি করা সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আঘাত হানার পর থেকে অন্ত এবং আন্ত বিপরীতমুখী অভিবাসন তথা বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের প্রত্যাগমনের দৃশ্য প্রকট রূপ ধারণ করেছে। রিভার্স মাইগ্রেশন বা প্রত্যাবর্তনের ধারণা রিভার্স মাইগ্রেশন বলতে বোঝানো হচ্ছে প্রচলিত মাইগ্রেশন বা অভিবাসনের রীতি যেখানে সাধারণত মানুষ কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অর্জনের উদ্দেশ্যে বড় বড় শহরে অথবা বিশ্বের অন্যান্য দেশে গমন করে তার সম্পূর্ণ বিপরীত একটি ধারা। করোনার প্রভাবে শহরাঞ্চলে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ফিরে আসছেন নিজ দেশে বা নিজ গ্রামে। এর পূর্বে আফ্রিকার উন্নত দেশগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ বা মহামারির কারণে অনুন্নত দেশুগুলোতে মানুষের ফিরে যাওয়ার ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রেও মানুষের বড় শহরগুলো ছেড়ে নিজের ছোট্ট শহরগুলোতে ফিরে আসার প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। তবে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনার কারণে অধিকাংশ উন্নত দেশগুলোই তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে আগত শ্রমিক ও কর্মীদের নিজ দেশে রাখতে অনাগ্রহী। ফলস্বরূপ কর্মীছাটাই বা বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে দেওয়ায় এ সকল পেশাজীবীরা নিজ দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। এই ধরণের অভিবাসনের আরেকটি রূপ হচ্ছে শহরাঞ্চলে লকডাউন জারি করার ফলে কারখানা, নির্মাণকাজ, যান চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়া। বাংলাদেশে শ্রমিক প্রত্যাবর্তনের চিত্র করোনার ফলে বাংলাদেশে শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তনের চিত্র মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমত, বাংলাদেশের জনশক্তি রূপে পরিগণিত হওয়া বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের দেশে ফিরে আসার চিত্র। বিদেশে চাকরি হারানোর পরে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বের ১৭০ টি দেশে ১.২০ কোটির বেশি বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। বিশ্বব্যাপী করোনার তীব্র প্রকোপের কারণে বিভিন্ন অধিকাংশ উন্নত দেশই তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে আগত এসব শ্রমিককে রাখতে আগ্রহী নয়। ফলস্বরূপ,প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের তথ্যানুযায়ী, এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত ২০৯,৩৪৫ জন অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন যাদের মধ্যে ২২,৯৩৬ জন নারী। কারও কারও ইকামার (কাজের বৈধ অনুমতিপত্র) মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়, কেউবা কাজ হারিয়ে বাধ্য হয়ে দেশে ফেরত এসেছেন। দ্বিতীয়ত, গ্রাম থেকে শহরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে আসা নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার চিত্র। পুরোপুরি বা আংশিকভাবে আয়ের ক্ষতিগ্রস্থ বেশিরভাগ লোকেরা তাদের গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমগুলো মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। গ্রামাঞ্চলে শস্য ও অন্যান্য দ্রব্যাদি উৎপাদন করা হয় ঢাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে। আর গ্রাম থেকে ভালো কাজ আর সুযোগের খোঁজে ঢাকায় আসা, মানুষের নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু করোনার প্রকোপের ফলে এবং দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে অর্থসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকেরা দলে দলে ফিরে যাচ্ছে নিজেদের গ্রামে। কেবল ঢাকা নয়, বড় বড় শহরগুলোতেও একই চিত্র। শুধু যে শ্রমিকগোষ্ঠীর মানুষই গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন এমনটা নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই তাদের ব্যয় কমানোর জন্য বিভিন্ন স্তরের কর্মী ছাঁটাই করছে যার ফলে হঠাৎ চাকরি হারিয়ে এসব নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা নিজ নিজ ঘরমুখী হচ্ছেন। পিপিআরসি (Power and Participation Research Centre: PPRC) ও বিআইজিডি (Brac Institute of Governance and Development: BIGD) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৬% নিম্ন আয়ের মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরে গেছে এবং জুন মাস নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৬৪ শতাংশে। প্রবাসী শ্রমিকদের প্রত্যাগমনের অর্থনৈতিক প্রভাব আইওএম (International Organization for Migration: IOM) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১০ মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষত পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলসমূহে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে তারা প্রায় ১৫ বিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করেন। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে করোনার মধ্যে বাংলাদেশ এখনো রেমিটেন্স বা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে কোনরূপ বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। করোনার মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেকর্ড ৬.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে যা গত বছরের এই তিন মাসে উপার্জিত অর্থের ৪৮.৫৭% বেশি। জুলাই মাসে রেকর্ড ২.৬ বিলিয়ন এবং সেপ্টেম্বরে প্রায় ২.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভিবাসী শ্রমিকেরা এদেশে পাঠিয়েছেন। রেমিটেন্সের এই প্রবাহ এখনো যথেষ্ট বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিবাসী হিসেবে উন্নত দেশে কাজ করতে ফিরে আসার অনিশ্চয়তা এবং পরিবারের কথা মাথায় রেখেই শ্রমিক্রা তাদের যাবতীয় সঞ্চয় দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন। এছাড়াও সরকার কর্তৃক ঘোষিত রেমিটেন্স খাতে ২% প্রণোদনাও রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ শ্রমিকের প্রত্যাবর্তন, অনুল্লেখযোগ্য পরিমাণ শ্রমিকদের অভিবাসন (করোনার মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ২৮৭ জন শ্রমিক কাজের উদ্দ্যেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন) এবং প্রবাসী শ্রমিকদের আয়ের তীব্র পতনের ফলে অনুমান করা যায় আগামী দিনগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থসংকটের মুখোমুখি হতে হবে শ্রমিকদেরকে। একজন অভিবাসী শ্রমিক গড়ে পরিবারের তিনজন সদস্যের ব্যয় বহন করেন। কিন্তু ৭০ শতাংশ শ্রমিক দেশে ফিরে এসে কর্মহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় পরিবারের সদস্যদের খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসার সংস্থান করতে চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন। ৫৫ শতাংশ শ্রমিক ঋণের ভারে জর্জরিত। তারা বা তাদের পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার মতো অর্থনৈতিক অবস্থা তাদের অনেকেরই এখন নেই। শহর থেকে গ্রামে শ্রমিকদের প্রত্যাগমনের অর্থনৈতিক প্রভাব মার্চের ৮ তারিখে প্রথম কোভিডে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর থেকে জুলাই পর্যন্ত আনুমানিক ১৫,০০০ পরিবার কাজের অভাবে বা কাজ হারিয়ে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। মে মাসে করা সানেমের (South Asian Network on Economic Modelling: SANEM) এক গবেষণায় দেখা গেছে দেশের অভ্যন্তরে এ ধরণের অভিবাসনের তাৎক্ষণিক কোনো বিরূপ প্রভাব না থাকলেও সময় পরিক্রমায় এর প্রভাবে দারিদ্র্যের হার ২০.৫% থেকে ৪০.৯% অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় যারা শহরে গিয়েছিলেন, তারা ফিরে আসায় স্থানীয় শ্রমবাজারে চাপের সৃষ্টি হচ্ছে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাতে কর্মরত মানুষের উপার্জন অনেক ক্ষেত্রেই ৮০% পর্যন্ত কমে গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। বিআইডিএস (Bangladesh Institute of Development Studies: BIDS) এর গবেষক বিনায়ক সেনের ‘Poverty in the Time of Corona: Short-term Effects and Policy Responses’ শীর্ষক গবেষণাপত্র অনুযায়ী করোনার প্রভাবে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় ১.৬৪ কোটি মানুষ ‘নিউ পোর’ বা নব্য দরিদ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। শহর থেকে গ্রামে এরুপ বিপরীতমুখী অভিবাসনের নেতিবাচক দিকই বেশি। বড় বড় শহরগুলোতে জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হলেও গ্রামাঞ্চলে মানুষের কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগ না থাকায় পরিবারগুলোতে অভাবের সৃষ্টি হচ্ছে। শহর থেকে উপার্জিত অর্থ গ্রামে পাঠালেও তার একটা ক্ষুদ্র অংশ মানুষ শহরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে। এর ফলে ডিমান্ড কার্ভ এ যে নতুন স্তর সৃষ্টি হয়েছিল তা ক্রমশই বর্তমান পরিস্থিতিতে হারিয়ে যাচ্ছে। কনজিউমার লেভেল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ ধরণের ব্যক্তিরা যারা শহর থেকে নিজ এলাকায় ফিরে যাচ্ছেন (Internally Displaced People: IDP) তারা ইনফর্মাল ইকোনমিক সিসটেমের একটা অংশ ছিলেন। কনজামশন চেইনে তাদের অংশ থাকায় এফএমসিজি (Fast-moving Consumer Goods: FMCG) ইনডাস্ট্রিতেও তারা পরোক্ষ অবদান রাখতেন যার ফলে ফর্মাল ও ইনফর্মাল সেক্টরের মধ্যে একটা সংযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই বিপরীতমুখী অভিবাসনের ফলে এ ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে অর্থ প্রবাহের সংকট দেখা দিয়েছে। করেছে। মার্কেট মেকানিজমের কারণে আগামীতে বাড়িভাড়া প্রায় ২০% কমে যেতে পারে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন ক্যাব (Consumer Association of Bangladesh: CAB) সভাপতি। নারী শ্রমিকদের প্রত্যাগমন ও প্রভাব গ্রাম থেকে কাজের খোঁজে শহরে আসা ব্যক্তিদের অধিকাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতের সাথে জড়িত। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ পেশাজীবী এই খাতের উপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বিভিন্ন বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত নারীদের কথা যারা পরিবারের স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতে গ্রাম থেকে শহরে ছুটে এসেছেন কাজের আশায়। আনুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাতগুলোর মধ্যে এ ধরণের পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই নারী কেননা তারা গার্মেন্টস কর্মী। প্রায় ৪ মিলিয়ন নারীর কর্মসংস্থান করা এ খাতে অধিকাংশ মালিকপক্ষ খরচ কমানোর উদ্দ্যেশ্যে প্রচুর কর্মী ছাটাই করেছেন অথবা বেতন কমিয়ে দিয়েছেন যার ফলে নারীরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কাজ হারিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ায় নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই নিগ্রহের শিকার হন। এছাড়াও অনেকেই পড়াশোনা ও কাজ সমানতালে চালিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়াও অনেকেই বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছেন। অবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় এবং গৃহীত পদক্ষেপসমূহ চলমান বিপরীত অভিবাসনকে আমাদের কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা দরকার কারণ এ কেবল অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার বিষয় নয়, বরং এটি অনেকগুলি নতুন সামাজিক উদ্বেগ তৈরি করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। অনেকে ধারণা করেন, প্রবাস থেকে আগত শ্রমিকদের কারিগরী দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দ্রুতই তাদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করবে ফলে এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। বর্তমানে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় বিভিন্ন দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং এসব শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু চাকরি খুইয়ে আসা এসব শ্রমিকদের বড় অংশই যথাযথ পারিশ্রমিক না পেয়ে দেশে ফিরে আসায় অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা দ্রুতই বিদেশে কাজে ফিরে যেতে আগ্রহী। অনেক শ্রমিকের নিয়োগকর্তাই তাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী কিন্তু করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা ফিরে যেতে পারছেন না। যেহেতু করোনার প্রভাব বেশ দীর্ঘমেয়াদী, তাই গ্রামাঞ্চলে ফিরে আসা ব্যক্তিদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আমাদের অর্থনীতির বড় একটি অংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় বেশ কিছু অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা যেতে পারে গ্রামাঞ্চলে যেখানে স্বল্প পরিসরে দ্রব্যাদি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করা যায়। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পভিত্তিক উদ্যোক্তাদের (Small and Medium Enterprises: SMEs) বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি বিশেষত গ্রামীণ অর্থনীতি একটু হলেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। করোনা সংকটে শ্রমিক সমস্যাগুলো উত্তরণে ৮ জুলাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আইএলও আয়োজিত ‘গ্লোবাল লিডার’স ডে’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তিনটি প্রস্তাব হলো -
তথ্যসূত্রঃ ১। https://thefinancialexpress.com.bd/views/columns/pandemic-and-the-reverse-march-1599236790 ২। https://www.dhakatribune.com/bangladesh/2020/08/19/64-000-bangladeshi-migrant-workers-return-home-due-to-covid-19-pandemic ৩। https://www.dhakatribune.com/bangladesh/2020/08/19/64-000-bangladeshi-migrant-workers-return-home-due-to-covid-19-pandemic ৪। https://thefinancialexpress.com.bd/views/columns/pandemic-and-the-reverse-march-1599236790 ৫। http://www.newagebd.net/article/119516/govt-must-attend-to-migration-reverse-migration-issues ৬। https://thefinancialexpress.com.bd/views/unemployment-and-reverse-migration-1597941896 ৭। http://www.asianews.it/news-en/Dhaka,-70-of-emigrants-who-returned-due-to-Covid-19-without-work--50782.html ৮।https://thefinancialexpress.com.bd/trade/pandemic-pushes-back-rural-migrants-1595648778 ৯। https://www.newagebd.net/article/110840/dealing-with-the-new-poor-and-reverse-migration ১০। thefinancialexpress.com.bd/views/unemployment-and-reverse-migration-1597941896 ১১| https://www.banglatribune.com/national/news/631830/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0
0 Comments
Leave a Reply. |
Send your articles to: |