তানজিম-উল-ইসলাম, মাহির ফারহান খান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক পরিবর্তন তানজিম-উল-ইসলাম গত অর্থবছরে প্রবাসী আয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। ২ জুলাই, ২০১৮ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১৭ কোটি ডলার। প্রবাসী আয় বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডলারের দাম বৃদ্ধি। এর ফলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ১ হাজার ২৭৭ কোটি ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষ দুই মাস রোজা ও ইদ সামনে রেখে বেশি অর্থ পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মে মাসে এসেছিল ১৪৮ কোটি ১৮ ডলার। গত অর্থবছরে জুন মাসে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে, যা ২০১৬-১৭ এর চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ডলার-সংকটের কারণে এক্সচেঞ্জ হাউসের কর্মকর্তারাও এখন আগের চেয়ে বেশি ডলার সংগ্রহ করছেন। পাশাপাশি বর্তমানে প্রবাসীরা ১ ডলার পাঠালে বাংলাদেশে থাকা তাঁদের আত্মীয়রা এখন ব্যাংক থেকে পাচ্ছেন প্রায় ৮৪ টাকা, আগে যা ছিল ৮০ টাকার নিচে। এ কারণেই প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে আয় পাঠাচ্ছেন। লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা যায়নি মূল্যস্ফীতি মাহির ফারহান খান বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারের মূল্যস্ফীতির হার ধরে রাখার লক্ষ্য ৫.৫ শতাংশ থাকলেও এই মাত্রার মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে ধরে রাখা সম্ভব হয় নাই। পূর্ববর্তী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি যেখানে ছিল ৫.৪৪ শতাংশ তা এই অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭৮ শতাংশ। বিগত কয়েক বছরের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ২০১৪ এর পর থেকে ‘পয়েন্ট টু পয়েন্ট’ ভিত্তিক মূল্যস্ফীতির হার মাঝে মাঝে বাড়লেও মূলত মূল্যস্ফীতি ক্রমহ্রাসমান ছিল। এর ব্যতিক্রম দেখা যায় ২০১৭ সালের শুরু থেকে থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত, যে সময়ে মূল্যস্ফীতি ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে না রাখতে পারার কারণ হিসেবে একনেক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূলত অর্থবছরের শুরুর আকস্মিক বন্যায় হাওরে ফসলহানি ও এর ফলস্বরূপ চালের দরের ঊর্ধগতিকেই দায়ী করেন। সাথে তিনি এও জানান যে ধানের বাম্পার ফলনের ফলশ্রুতিতে অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত কমেছে। বিবিএস এর হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে অর্থবছরের শেষে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমলেও ইদের বাজারের প্রভাবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Send your articles to: |