ফারহা তাসনীম, লুবাবা মেহজাবিন প্রিমা, মাহজাবিন রশীদ লামিশা, সাবিহা শারমিন ইভা, তাকরিম হোসেন, আরিক রহমান, নিলয় আমান, ইনজামামুল হক খান আলভী
গত ৮ জুলাই নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জে হাশেম ফুড ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে মারা গিয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক। লাশগুলো এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে; কে নারী, কে পুরুষ তা চেনার উপায় ছিল না। মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় ভবনের চতুর্থ তলা থেকে। ৮ই জুলাই, বিকাল ৫টার দিকে ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ৬ তলার বিশাল কারখানা ভবনে বের হওয়ার পথ মাত্র দু’টি। পুরো ভবনে ছিল না কোনো অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও। শ্রমিকরা আগুনের ধোয়া ও তাপে আটকে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে ছাদের দিকে যায় কিন্তু তার আগে আগুন গ্রাস করে নেয় ৪র্থ তলার শ্রমিকদের। বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজন মারা যান। এ ছাড়াও, শুক্রবার পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করে। অগ্নিকাণ্ডে আহত এবং নিহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারেরা ক্ষতিপূরণ দাবী করেছে। বাংলাদেশের শ্রম আইন মতে, সজীব গ্রুপকে নিহতদের মাত্র ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারখানার মালিকসহ ৮ জন কে পুলিশ একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে। অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেছেন, ‘জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে; শ্রমিক থাকলে কাজ হবে; কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে; এর দায় কি আমার?’
0 Comments
|