শাহরান হুসাইন, নিশাত তাসনিম ইতিশা, মোঃ আজমীর রহমান সরদার, নাফিসা হক সুবাহ্, মাসরুর আব্দুল্লাহ, রাসিক আযীয কবির, চৌধুরী নাবিলা তাসনিম, সাদিক মাহবুব ইসলাম থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে সরকারের বিনিয়োগ পরিকল্পনাশাহরান হুসাইন, নিশাত তাসনিম ইতিশা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাবেক অর্থনৈতিক পাওয়ার-হাউস থাইল্যান্ডের চলমান রাজনৈতিক সংকট দেশটির অর্থনীতিকে অনিশ্চিয়তার মাঝে ফেলেছে। দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নবনির্বাচিত থাই সরকার ৬৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের এক বিশাল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। থাইল্যান্ডের অর্থনীতি মূলত পর্যটন ও রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা থাইল্যান্ডের অর্থনীতিকে দুর্বল করে ফেলেছে। গত বছরও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য কমেছে দেশটির। উচ্চ কর ও দক্ষ জনশক্তির অভাব বৈদেশিক বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। কিন্তু এই দুর্বলতাগুলির মুখোমুখি হতে হলে নতুন সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী সংশোধন করতে হবে। উৎপাদনশীলতার হ্রাস দেশটির অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ২০১৪ থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার 3.1 শতাংশে আটকে গেছে – যা দেশটিকে মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে এগিয়ে নিতে পর্যাপ্ত নয়। পেমেন্ট পজিশনের ভারসাম্যহীনতা রপ্তানি বাজারে ক্ষয়ক্ষতি করছে। অর্থনীতিতে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে এবং জনসংখ্যার বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি গুলো রক্ষা করতে হবে। ব্যাংকক এর বাইরে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। কৃষি ও পর্যটন খাতের উন্নতির ফলে মূলত দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে থাইল্যান্ডে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা হয়ে উঠেছে। সেগুলো হলঃ
থাই সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য দেশে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে-
তথ্যসূত্র
বিশ্বে মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠী ক্রম হ্রাসমানমোঃ আজমীর রহমান সরদার, নাফিসা হক সুবাহ্ সম্প্রতি ১০ই এপ্রিল, ২০১৯ ওর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সদস্য দেশগুলোর উপরে এক সমীক্ষায় দেখা যায়, কয়েক দশকের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আকার এবং আয় অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় সংকুচিত। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে প্রতি প্রজন্মে মধ্যবিত্তের “অর্থনৈতিক গুরুত্ব” এবং “অর্থনৈতিক ভারসাম্যের কেন্দ্রবিন্দু” হিসেবে এর ভূমিকা ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। অভিজাত ও ধনী এবং হতদরিদ্র শ্রমিকশ্রেণীর মধ্যবর্তী অবস্থানে অবস্থান করা মধ্যবিত্তরা শিক্ষা, সেবা,কর্মে যোগদান, চিকিৎসা, বিনোদন সবক্ষেত্রে প্রায়শই আর্থিক স্বাধীনতা প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। আমেরিকান কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস অনুসারে, ১৯৭৮ থেকে ২০১৪ এই ৩৫ বছরে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চবিত্তদের আয় যেখানে ৯৫ শতাংশ বেড়েছে সেখানে মধ্যবিত্তদের আয় বেড়েছে মাত্র ২৮ শতাংশ। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হলো সম্পত্তির বন্টন। শিক্ষার খরচ, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং আবাসনের উচ্চমূল্য এ সকল সেবাকে শিক্ষিত মধ্যম আয়ের মানুষদের স্বাভাবিক খরচ সীমার বাইরে ঠেলে দিচ্ছে। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা প্রথমত দেখা দিয়েছিল সত্তরের দশকে। বর্তমানে প্রতি ছয় জনে একজন মধ্যম আয়ের পেশাজীবীর কাজ অটোমেশনের হুমকির মুখে আছে। সাধ্যের অতিরিক্ত ঋণগ্রহণের হার মধ্যবিত্তের মাঝে সবচেয়ে বেশি অন্য সব আয় শ্রেণীর থেকে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর মাঝে পরিবারের দ্বিতীয় অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি হিসেবে নারীর ভূমিকা লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে এটি কমে এসেছে। এছাড়া বর্তমানের গিগ ইকোনমির ধারণা বদলে দিয়েছে বৈশ্বিক চাকুরী বাজারের ধারণা। ফরচুন ম্যাগাজিন এই গিগ ইকোনমিকেও উন্নত বিশ্বের মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর সংকোচনের একটি বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তথ্যসূত্র:
বৈরি অর্থনৈতিক অবস্থা মোকাবেলায় চায়না সরকারের দৃঢ় সংকল্পমাসরুর আব্দুল্লাহ, রাসিক আযীয কবির চলমান চাপের ভেতরেও চায়না সরকার তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবে। যদিও বছরের শুরুতে চায়নার অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল, কিন্তু সরকারের হিসাব মতে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে নানারকম অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে অতি দ্রুত। এই পরিস্থিতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে চায়না সরকার কাউন্টার সাইক্লিক এবং প্রো ফিসকাল পলিসি গ্রহন করেছে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি এবং ফার্মের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকার ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান এর ট্যাক্স এবং ফি মওকুফের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য ব্যাংক গুলোর রিজার্ভ রেশিও ৫ গুণ কমিয়েছে। সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছে। চীন সরকারের মতে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৬-৬.৫%, যা গত বছরের তুলনায় কম। বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৪%। চীন সরকারের হিসাব অনুযায়ী এই বছর চীনে ২.১১ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি হবে যা গত বছরের চেয়ে কম। তাই চীনা সরকার বেসরকারি খাতকে সব রকম সহযোগিতা দেওয়ার আশা করেছে। বেসরকারি খাতকে মূল্যায়নের এই সিদ্ধান্তকে যুগোপোযোগি মনে করছেন গবেষকেরা এবং এজন্য তারা সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সরকারের এই দৃঢ় পদক্ষেপ চলমান অচলাবস্থা নিরসনে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা। তথ্যসূত্র:
পাকিস্তানের ঋণ আবেদন আইএমএফে, ভারতের হুশিয়ারিচৌধুরী নাবিলা তাসনিম, সাদিক মাহবুব ইসলাম সাম্প্রতিক সময়ে ভারতসহ কয়েকটি দেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ)-কে পাকিস্তানের বেইলআউট আবেদনের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধ করার ব্যর্থতায় ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) এর সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান। এফএটিএফ অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসের অর্থায়নের বিরুদ্ধে বিধান তৈরী করে। সাম্প্রতিক সাংসদীয় সাক্ষাতে সংস্থাটি বিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার পর্যালোচনা করাও শুরু করেছে। পাকিস্তানকে সংস্থাটি ধূসর তালিকাভুক্ত করে রেখেছে সন্ত্রাসের অর্থায়নের বিরুদ্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ায়। তবে পাকিস্তান এফএটিএফের সিদ্ধান্তকে ভারতের লবিং-এর ফলাফল হিসেবে সমালোচনা করছে। দেশটি জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে, একই সময়ে তারা আইএমএফের কাছে ৮-১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জরুরী সহায়তা চাচ্ছে। ঋণের প্রস্তাবটি গৃহীত হলে এটি হবে সংস্থাটির কাছে পাকিস্তানের ২২তম ঋণ। ভারতের মতে এইরকম ধূসরতালিকাভুক্ত দেশের কাছে ঋণ প্রদান হবে একটি লজ্জাজনক ব্যাপার। কেননা, দেশটির নাম কালোতালিকায় যুক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যা হলে অন্যান্য দেশের সাথে লেনদেন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আইএমএফের এই ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা থাকার দাবী জানিয়েছে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আসাদ উমার, যাকে পদত্যাগ করতে একরকম বাধ্য করা হয়, জানিয়েছেন যে আইএমএফের সাথে চুক্তি প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের আইএমেফের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। আসাদ উমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে এফএটিপির কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে এবং এই মাসেই আইএমেফের পরিদর্শক দল আসবে। তথ্যসূত্র:
0 Comments
Leave a Reply. |