ECONOMICS STUDY CENTER, UNIVERSITY OF DHAKA
  • Home
  • About
  • ESC BLOG
  • Publications
  • News and Events
  • Book Archive
  • 3rd Bangladesh Economics Summit
  • Research
  • Executive Committee
  • Digital Library
  • ESC Hall of Fame
  • Monthly Digest
  • Announcements
  • Contact

বাংলাদেশের অর্থনীতিঃ মার্চ ২০১৯

4/8/2019

0 Comments

 
জিনাত জাহান খান, শেখ তাওসিফ আহমেদ, ফাহরীন হাসান রূপন্তী , রাকিবুল ইসলাম
Picture
           গ্যাসের দাম বাড়ানো কি আসলেই প্রয়োজন? 

                                               জিনাত জাহান খান 

গত মার্চ মাসের ১১ তারিখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) টিসিবি মিলনায়তনে সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার চার দিনের একটি গণশুনানি শুরু হয়। এই গণশুনানিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি স্থাপন করে পেট্রোবাংলা, তিতাস, বাখরাবাদ, কর্ণফুলীসহ মোট ছয়টি গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি। এসময় নাগরিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে পেট্রোবাংলা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) গ্যাসকে গ্যাসের সামগ্রিক দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে। তাদের প্রস্তাবে প্রতি ইউনিটে (প্রতি ঘনমিটার) ৭.১৭ টাকা কর থেকে ৯.৫৫ টাকা কর আরোপ করার কথা বলা হয়। অর্থাৎ অন্যান্য গ্যাস গড়ে ৬.৫০ টাকায় বিক্রি করা হলেও এলএনজি গ্যাস বিক্রি করা হবে ৩৯.৮২ টাকায়। এলএনজি আমদানিতে ২৫,৫৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সিএনজির (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম প্রতি ইউনিট ৩২ টাকা থেকে ৪৮.১০ টাকা, শিল্পকারখানার বিদ্যুৎকেন্দ্রে (ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র) সরবরাহকৃত গ্যাস ৯.৬২ থেকে ১৮.৪ টাকা এবং সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩.১৬ থেকে ৯.৭৪ টাকা করার প্রস্তাব জানায়। এমনকি এক বার্নার চুলা ও দুই বার্নার চুলার মাসিক বিল শতকরা ৮০ ভাগ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
Picture

তবে এসব প্রস্তাব আসলেই যুক্তিসঙ্গত নাকি তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্নই হলো, গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো লাভে থাকা সত্ত্বেও বিইআরসি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করার প্রস্তাব কেন দিচ্ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রস্তাবিত হারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেলে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাবে৷ আর গত কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাই ছিলো সরকারের অন্যতম সাফল্য। শিল্পোদ্যোক্তারা জানিয়েছেন যে, তাদের উৎপাদন ব্যয় ইতিমধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগ বেড়ে গিয়েছে। এখন আবার নতুন করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেলে অনেক উদ্যোক্তাই দেউলিয়া হয়ে যাবে্। তাছাড়া একই অর্থবছরে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা কিংবা এর পক্ষে কোনো গণশুনানি করা অবৈধ বলেও জানান কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সিএবি) উপদেষ্টা প্রফেসর শামসুল আলম। এই বিষয়ে মামলা দাখিল করা হলে হাইকোর্ট গ্যাসের এই ধরণের মূল্যবৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলে কারণ এই বৃদ্ধি হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী। কোর্টের মতে, শুধুমাত্র তিতাস ও পেট্রোবাংলার দুর্নীতি অর্ধেক কমানো গেলে এরকম দাম বাড়ানোর কোনো প্রয়োজনই হবে নেই। এজন্য হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনকে নিজেদের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেন।

তথ্যসূত্র:
​

1.https://www.thedailystar.net/backpage/news/no-need-gas-price-rise-if-graft-curbed-1723234
2.https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1583234/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E2%80%98%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7%E2%80%99

Picture

জিনাত জাহান খান

অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে না, বর্তমানের কথা মনে থাকে
​ না, ভবিষ্যতের চিন্তা মন থেকে যায় না। 
​


                    দেশে প্রথমবারের মতো চালু হল
                         ট্রিপল-প্লে ইন্টারনেট সেবা


                                              শেখ তাওসিফ আহমেদ 

দেশে ট্রিপল-প্লে ইন্টারনেট সেবা নিয়ে এলো ইন্টারনেট প্রোভাইডার কোম্পানী ব্রডব্যান্ড ৩৬০ ডিগ্রী। ট্রিপল-প্লে ইন্টারনেট সেবার বৈশিষ্ট্য হল- এটি দ্বারা যেকোন ডিজিটাল মাধ্যমে যেমন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, স্মার্টটিভি ইত্যাদিতে তিন ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিতে পারবেন ব্যবহারকারী, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো - কল করা, টিভি দেখা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং সেবা।
৩৬০ ডিগ্রী ব্রডব্যান্ড এর এই ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবার মূলে রয়েছে আল্ট্রাফাস্ট ১০০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবা, সঙ্গে রয়েছে সেফ ইন্টারনেট, ইকো ফ্রেন্ডলি ফোন, আইপিটিভি, ভিওডি ইত্যাদি। ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে এমন একটি ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে  যা ৫৭টির বেশি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে কনটেন্ট ফিল্টার করে থাকে এবং ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ হতে থাকে।  

Picture

ট্রিপল প্লে (ইন্টারনেট, ফোন, টিভি) ইন্টারনেট সার্ভিস যা আইপিটিভির অনুমোদন না থাকার কারণে কিছুদিন আগে পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বিটিআরসির অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রডব্যান্ড থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি চালু করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, ট্রিপল প্লের অন্যান্য সেবাসমূহ ইন্টারনেট এবং ফোনের অনুমোদন ও সেবা কার্যক্রম বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা আর এর ভিত্তিতে অনেক দিনের চেষ্টায় কার্যকরী একটি সার্ভিস আনতে সক্ষম হয়েছে ব্রডব্যান্ড থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি টিম। যার মাধ্যমে যেকোনো অভিভাবক সেফ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে পারবেন নিজের বাড়িতে বা অফিসে। 

Picture

শেখ তাওসিফ আহমেদ

শেখ তাওসিফ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে, দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। আপাতত অর্থনীতি বিভাগ  থেকে বেঁচে বের হওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত।


                 বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে
                       দিতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 

                                                ফাহরীন হাসান রুপন্তী
​জিএসপি বা জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স হল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বে শুল্ক মুক্ত অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা যা উন্নয়নশীল দেশগুলো উপভোগ করে থাকে। এটি মূলত শিল্প ও রপ্তানি খাতের সমৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলোর সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো করার একটি সুযোগ।
বাংলাদেশ অনুন্নত দেশগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়ায় ১৯৭৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিএসপি সুবিধা ভোগ করে আসছে। কিন্তু শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৩ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেন। তাজরীন ফ্যাশনে ২০১২ সালের ভয়াবহ আগুন এবং ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসের পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র সুরক্ষা ও শ্রমিক অধিকার আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে জিএসপি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়ার জন্য ওবামা সরকার বাংলাদেশকে ১৬ টি শর্ত দেয়।

​জিএসপি বাতিলের ফলে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ১৫.৬২% শুল্ক আরোপ করা হয় যা ভারত, পাকিস্তান, চায়না, ভিয়েতনাম থেকে অনেক বেশি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য কঠিন প্রতিযোগিতায় পড়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা পেতে কারখানাগুলোয় কমপ্লায়েন্টের বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। বিজিএমইএ এর সূত্র মতে, দেশের বেশিরভাগ গার্মেন্ট কারখানাতেই কমপ্লায়েন্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিকল্প সিঁড়ি, শিশু শ্রমিক নিষিদ্ধ, নূন্যতম ওয়েজ বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুরক্ষার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

Picture

​যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে জিএসপির পুনর্বহাল চাইলে বাংলাদেশকে শ্রমিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।রানা প্লাজা ধসের পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে দুহাজারেরও বেশি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করা হয়েছে। বেশ কিছু কারখানা নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ বলছে, জিএসপি পুনর্বহালের আগে আরো কয়েকশ কারখানায় নিরাপত্তা পরিদর্শন সম্পন্ন করতে হবে। আ্যামেরিকান চেম্বার অফ কমার্স কর্তৃক ১২ মার্চ, ২০১৯ অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, “জিএসপি বিষয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা চাই বাংলাদেশ জিএসপি ফিরে পাক।

কিন্তু এজন্য শ্রমিকদের অধিকারের শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে।" ​মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বেশ কিছু খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এজন্য ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান জটিলতা নিরসনের তাগিদ দেন তিনি। স্থগিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। বাংলাদেশ সরকার জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে আ্যাকর্ড আ্যালায়েন্স এবং ন্যাশনাল ট্রাইপারটিট প্ল্যান অফ আ্যাকশনের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। শুরু হয়েছে পোশাক শিল্পে নানা সংস্কার। মার্কিন রাষ্ট্রদূত শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নয়নের অগ্রগতি এবং বর্তমানে ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান জটিলতা নিরসনের কথা বলেন। সেই সাথে উল্লেখ করেন বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা।  বর্তমানে এই বিষয়টি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে জরুরি। ১৪ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী ২৬ তম বার্ষিক ইউ.এস ট্রেড শো এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।

Picture

ফাহরীন হাসান রুপন্তী                             

পৃথিবীর নানা প্রান্তে প্রতি মুহুর্তেই কত কিছু ঘটে যাচ্ছে। সেগুলো নিয়ে ভেবেই দিন কাটিয়ে দেই। ইচ্ছা হলে লিখেও ফেলি।    ​


​         ঋণখেলাপীদের জন্য নতুন নীতিমালার প্রস্তাবনা

                                                   রাকিবুল ইসলাম 
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যাগুলোর মধ্যে ঋণখেলাপী সমস্যা নিঃসন্দেহে শীর্ষ অবস্থানে। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ব পাঁচটি ব্যাংকে "ব্যাড লোন" বা ঝুকিপূর্ণ ঋণ এর অংক ছিল ৫৬,২৮৩ কোটি টাকা। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট খেলাপী ঋণ এর শতকরা ৪৩ ভাগই রাষ্ট্রায়ত্ব পাঁচ ব্যাংক এর অধীনে। জুন পর্যন্ত মোট খেলাপী ঋণ ছিল ১,৩১,৬৬৬ কোটি টাকা।প্রতিবছর এই অংক কমার বদলে শুধু বেড়েই চলেছে।ব্যাংকিং সেক্টরের নানা দুর্নীতি, অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনায় বেড়ে চলেছে খেলাপী ঋণের পরিমাণ। মূলত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বড় অংকের ঋণ বিতরণ করা হয়েছে যা পরবর্তীতে অনাদায়ী ঋণ এর পরিমাণ বাড়িয়েছে। ঋণখেলাপীদের প্রতি দুর্বলতা ও যথাযথ নীতিমালার অভাবে খেলাপী ঋণের পরিমাণ কমছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারি একটি কমিটি যৌথভাবে একটি প্রস্তাবনা দেয়।প্রস্তাবিত নীতিমালায় ঋণখেলাপীদের প্রতি দেখানো হয়েছে আরো উদারতা। অর্থনীতিবিদরা প্রস্তাবিত নীতিমালার কার্যকারীতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

Picture

প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী অনাদায়ী ঋণের শতকরা মাত্র ২ ভাগ "ডাউন পেমেন্ট" এর মাধ্যমে ঋণ চলমান রাখা যাবে।পূর্বে যারা এরকম সুবিধা গ্রহণ করেছেন তাদেরকে নতুন নীতিমালা থেকে সরকারি কমিটি বাদ দেয়ার কথা বললেও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকেও নতুন নীতিমালায় রাখার সুপারিশ করেছে। এর আগে ২০১৫ সালে এরকম আরেকটি নীতিমালা প্রনয়ন করা হয়েছিল বড় অংকের ঋণখেলাপীদের ঋণ পুনর্বণ্টন এর উদ্দেশ্যে।কিন্ত আশানুরূপ কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। ঋণ পরিশোধ করতে আরো বেশি সময় পাওয়ায় ঋণ পরিশোধের জন্য খেলাপীদের প্রচেষ্টায় ঘাটতি দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি প্রস্তাবিত নীতিমালায় ঋণখেলাপীরা ১৩ থেকে ১৫ বছর এবং বিশেষ বিবেচনা সাপেক্ষে অতিরিক্ত ২ বছর সময় পাবেন ঋণ পরিশোধের জন্য। ২০১৫ সালের প্রস্তাবনায় ১১ টি প্রতিষ্ঠান সুযোগ গ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত মাত্র ১টি প্রতিষ্ঠান শর্তপূরণ করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এর সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মন্তব্য করেছেন "প্রস্তাবিত প্যাকেজ ব্যাংকিং সেক্টরকে ধ্বংস করে দিতে পারে"। এভাবে ঋণখেলাপীদের সুযোগ দিতে থাকলে পরবর্তীতে ঋণের মূল্য বেড়ে যেতে পারে।

Picture

রাকিবুল ইসলাম 

অর্থনীতি বোঝার চেষ্টা করছি। 


0 Comments



Leave a Reply.

    Archives

    March 2021
    February 2021
    January 2021
    May 2019
    April 2019
    March 2019
    February 2019

    Categories

    All

    RSS Feed

Powered by Create your own unique website with customizable templates.
  • Home
  • About
  • ESC BLOG
  • Publications
  • News and Events
  • Book Archive
  • 3rd Bangladesh Economics Summit
  • Research
  • Executive Committee
  • Digital Library
  • ESC Hall of Fame
  • Monthly Digest
  • Announcements
  • Contact