ECONOMICS STUDY CENTER, UNIVERSITY OF DHAKA
  • Home
  • About
  • ESC BLOG
  • Publications
  • News and Events
  • Book Archive
  • 3rd Bangladesh Economics Summit
  • 4th Bangladesh Economics Summit
  • Research
  • Executive Committee
  • Digital Library
  • ESC Hall of Fame
  • Monthly Digest
  • Announcements
  • Fairwork Pledge Supporter
  • Contact

ব্রেক্সিটের দুই বছর- ব্রিটিশ অর্থনীতি এখন কোথায়?

4/29/2022

0 Comments

 

আশফাক আলম প্রণয়, তাসনুভা আফরিন, নাজমুল আলম অর্নব, তনিমা তাহেরীন

Picture
ডিজাইন: ফারহা তাসনীম
ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান তথা এক্সিট বোঝাতে ‘ব্রেক্সিট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকার পর ২০১৬ সালের ২৩শে জুন ইইউতে অবস্থান প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয় । গণভোটে নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- যুক্তরাজ্যের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকা উচিত কি না? ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইইউ ত্যাগ করার পক্ষে,আর ইইউতে থাকার পক্ষে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ। অনেক ব্রিটিশ নাগরিকই নিজ দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিষেধ মেনে চলা নিয়ে বেশ নাখোশ ছিলেন। এ ছাড়া, যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়েও ব্রিটিশদের মধ্যে অস্বস্তি ছিল। ইইউর নিয়মানুযায়ী, ইউনিয়নের ২৮ দেশ ভিসা ছাড়াই এক দেশ থেকে আরেক দেশে অবাধে চলাফেরা করতে পারে। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তাঁর সরকারের প্রথম মেয়াদে ইইউর বাইরের দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু ইউরোপীয় নাগরিকদের প্রবেশ কমাতে পারেননি। এছাড়া ইইউ বা যুক্তরাজ্যের কেউই চায়নি; উত্তর আয়ারল্যান্ড আর রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কোনো কঠোর সীমান্ত থাকুক। তাই, দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে যে; ব্রেক্সিট নিয়ে বোঝাপড়ায় যা-ই ঘটুক না কেন, উক্ত সীমান্তটি উন্মুক্ত থাকবে।

ব্রেক্সিটের আনুষ্ঠানিকতা এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব
গণভোটের পর বিভিন্ন পর্যায় এবং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রিনউইচ মান সময় রাত এগারোটায় ব্রেক্সিট সম্পন্ন হয়। ব্রেক্সিট পরবর্তী যুগে অর্থনীতিবিদদের অন্যতম অনুমেয় ধারণা ছিল, ব্রিটেনের মাথাপিছু আয় কমে যাবে। ব্রেক্সিট পরবর্তী যুগে ব্রিটেনসহ সমগ্র ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন ঘটে, যা এই ধারণাটিকে আরো জোরদার করে। তবে অনেক অর্থনীতিবিদদের মতে, ইইউ থেকে ব্রিটেন এর প্রস্থান এবং কোভিড-১৯ মহামারী সমসাময়িক হওয়ায় অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দায় সম্পূর্ণরূপে ব্রেক্সিটকে দেয়া যায় না। ব্রেক্সিটের তাৎক্ষণিক প্রভাব হিসেবে ব্রিটেনের অর্থনীতির বেশ পরিবর্তন আসে। ২০১৮ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়; ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটেনের জাতীয় আয় প্রায় ০.৬ % কমে যেতে পারে। তাছাড়াও, ব্রিটেন এক অনিশ্চিত বাণিজ্য নীতির মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে; যা তাদের অর্থনীতির জন্য খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

ব্রেক্সিটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং আর্থিক নিষ্পত্তি 
দীর্ঘ মেয়াদে ব্রেক্সিটের প্রভাব নিয়ে অর্থনীতিবিদদের ধারণা হচ্ছে, ব্রিটেনকে তার অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ১০-১৫ বছরও লাগতে পারে। এর পেছনের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে, যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা তুলনামূলক সহজ ছিল। ব্রেক্সিটের পর থেকে ব্রিটেনের বাণিজ্যের এক-চতুর্থাংশ বাধার সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৭ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনের মোট জাতীয় উৎপাদন অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের কারণে ব্রিটেনকে আর্থিক নিষ্পত্তি হিসেবে ইইউকে প্রায় ৩৪.১ বিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করতে হবে; যা বিভিন্নধাপে এবং বিভিন্ন পরিমাণে প্রদান করা হবে। তবে, প্রস্থানের প্রথম বছর (ডিসেম্বর ৩১,২০২০ পর্যন্ত) নির্ধারিত অর্থের পরিমাণ ছিল ব্রিটেন ইইউ এর সদস্যপদধারী হলে তাদের যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হতো- সেই পরিমাণ। এর বিনিময়ে ব্রিটেনও ইইউ হতে নিয়মানুযায়ী আর্থিক তহবিল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা লাভ করেছে। সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধে ২০৬৪ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

Picture
২০১৯ সালে লন্ডনে ব্রেক্সিট প্রতিরোধে মিছিল। ছবি: রয়টার্স

​অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর প্রভাব

ব্রেক্সিট পরবর্তী যুগে ব্রিটেন তাদের শেয়ার বাজারে ১৯৮৫ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ দরপরতন দেখেছে; যা প্রায় ২ ঘন্টার ব্যবধানে হয়েছে। এই ধরণের দরপতনের পেছনে কারণ হচ্ছে বড় বড় কোম্পানীগুলোর ব্রিটেন ত্যাগ। একসময় বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউরোপীয়ান হাব হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ড হতে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রেক্সিট এর ফলস্বরূপ তাদের স্থান পরিবর্তন করা শুরু করে। ২০১৯ থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২৩৯ টি কোম্পানি ব্রেক্সিটের কারণে তাদের কার্যক্রম ব্রিটেন থেকে গুটিয়ে নেয়। এসকল কোম্পানি পার্শ্ববর্তী দেশ আয়ারল্যান্ড সহ লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসে ইত্যাদি দেশে স্থানান্তরিত হয়। এ সময় ব্রিটেনের ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ইনশিওরেন্স কোম্পানিগুলো থেকে প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ডলার অপসারিত হয়। এতে করে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক খাতে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। এছাড়াও, ২০২১ সালে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময়ের আধিপত্য ব্যাহত করে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জ(ইউরোনেক্সট) ইউরোপের সবচেয়ে বড় পুঁজিবাজারে পরিণত হয়। যার পেছনে ব্রেক্সিটের ভূমিকা প্রকট। যদিও ব্রিটেনের বাজার অনেকটা এককেন্দ্রিক, তবে বাজার বেশ বড় হওয়ায় এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ অর্থনীতির দেশ হওয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগ ঐতিহাসিকভাবে এখানে বেশি। ২০১৪ সালের হিসাবমতে, ব্রিটেন জার্মানি ও ফ্রান্সের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৈদেশিক বিনিয়োগ লাভ করেছে। তবে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে এক গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ৩৭% হ্রাস পেতে পারে। 
 
ইইউ সিঙ্গেল মার্কেট এবং কাস্টমস ইউনিয়ন পরিত্যাগের প্রভাব
অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যানের মতে, ব্রেক্সিট সমর্থকদের যে দাবি-  ইইউ একক বাজার এবং কাস্টমস ইউনিয়ন ত্যাগ করলে বহির্বিশ্বে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি উন্নত হবে- তা ভুল। তবুও ব্রেক্সিটের এক বছর পর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি কম উন্মুক্ত বা অর্থনীতির কম বিশ্বায়ন হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারের অফিসিয়াল ফোরকাস্টারের মতে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পাঁচ বছর আগের পূর্বাভাসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বলা যেতে পারে যে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ‘বাণিজ্যের তীব্রতা’ দেড় দশকে ১৫% করে হ্রাস পাবে। ইউরোপীয় ব্যবসার মালিকরাও এই বিষয়ে হতাশাজনক অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। সিঙ্গেল মার্কেট এবং কাস্টমস ইউনিয়নের বাইরে এক বছরের বাণিজ্যের বাস্তবতা বেশ চ্যালেঞ্জিং, হতাশাজনক, এবং ভীতিকর। ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশাল ধ্বসের সম্মুখীন হতে হয়েছে। 
 
মুদ্রা এবং পর্যটন 
ব্রেক্সিট এর প্রভাব ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গুলোর উপরে পড়েছে। গণভোটের পরের দিনই পাঁচটি বৃহত্তম ব্রিটিশ ব্যাংকের শেয়ারের দাম গড়ে ২১ শতাংশ হ্রাস পায়। গণভোটের পর থেকেই ইউরো এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে মান কমেছে ব্রিটিশ পাউন্ডের। যার মধ্যে ছিল; গণভোটের ফলাফল প্রকাশের আগমুহূর্তে ডলারের বিপরীত ১০% এর বেশি পতন এবং ইউরোর বিপরীতে ৭% এর বেশি পতন, যা ছিল গত ৩১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতি হলেও পরবর্তীতে চুক্তির অনিশ্চয়তার কারণে সেটি আবারও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তবে পাউন্ড যত দুর্বল হবে যুক্তরাজ্যে ইইউ’র বাইরের ভ্রমণকারীদের জন্য সেটি তত সুবিধাজনক হবে। আন্তর্জাতিক যাত্রী জরিপের হিসাবে, যুক্তরাজ্যে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকেরাই ৪৪০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন। চলতি বছর এই ব্যয় অন্তত ৯ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে। এছাড়া গত বছর ৩৫ লাখ মার্কিন নাগরিক যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করলেও এ বছর সেই সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৩৮ লাখে। তবে যুক্তরাজ্যের পর্যটকদের জন্য ইইউ ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে ওঠায় তাদের সংখ্যা কমে গেছে।

Picture
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যের মাথাপিছু জিডিপির পতন। তথ্যসূত্র: https://blogs.lse.ac.uk/

প্রবৃদ্ধির হ্রাস
ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটা সম্ভাবনাময় ক্ষতি ও হুমকির দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করা হয়। এর আরও একটি কারণ আছে। সেটি হলো, ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছে সেই ২০১৫ সাল থেকে। যার ফলে, ইউকে অফিস ফর ন্যাশন্যাল স্ট্যাটিস্টিক্স এর ২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী; ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশে এ নেমে এসেছে।  যুক্তরাজ্য সরকার আরও অনুমান করেছে যে; ব্রেক্সিটের ফলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।

শ্রম সংকট
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে তাপপ্রবাহ এবং খরার প্রবণতার কারণে গত দুই দশক ধরে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন কমে গিয়েছে। এছাড়া, ব্রেক্সিটের আগে যুক্তরাজ্যের কৃষিখাতে কাজ করার জন্য রোমানিয়া ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণ শ্রমিক আসতো এবং ব্রেক্সিট চুক্তির আগে যুক্তরাজ্য ইইউ-এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারতো। ইইউ পরিবেশ সুরক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং শক্তিতে তাদের সদস্যদের এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু ব্রেক্সিট সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে যুক্তরাজ্য এখন থেকে এই সুবিধাগুলো আর পাবে না। যার ফলে, কৃষিখাতে কর্মী সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা অর্জনের নতুন সুযোগ এবং ইউরোপজুড়ে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান
অন্যদিকে, স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিক ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। স্কটিশ সরকার সব সময়ই বিশ্বাস করেছে যে; ইইউ এর অন্তর্ভুক্ত থাকাই স্কটল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের জন্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে সবচেয়ে মঙ্গলজনক। যুক্তরাজ্য সরকারকে স্বাধীনতা প্রসঙ্গে দ্বিতীয় গণভোটের অনুমতি দিতে চাপ দেয়ার ব্যাপারে এখন স্কটল্যান্ড একটা যৌক্তিক কারণ খুঁজে পেয়েছে। গণভোটে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করার পক্ষে মত আসলে স্কটল্যান্ড নিজেই ইইউ সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট ইউরোপজুড়ে অভিবাসন বিরোধী দলগুলোর ভিত্তিকে শক্তিশালী করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী করবে। যদি এই দলগুলো ফ্রান্স এবং জার্মানিতে যথেষ্ট সমর্থন লাভ করে, তাহলে তাদের মধ্যেও ইইউবিরোধী ভাব চলে আসাটা অস্বাভাবিক কিছু না। যদি সেসব দেশও ইইউ এর সদস্যপদ প্রত্যাহার করা শুরু করে, তাহলে অচিরেই ইইউ তার শক্তিশালী অর্থনীতি হারাবে এবং ভেঙ্গে পড়বে।

ব্রেক্সিটের ফলে ব্রিটেনের অর্থনীতির যেই নাজুক অবস্থা ছিল, করোনা মহামারীর ফলে তা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেইসাথে এইবছর যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। পুরো বিশ্বের মত ব্রিটেনেও মুদ্রাস্ফীতি ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬.২ শতাংশে; যা গত তিন দশকে সর্বোচ্চ। যদিও সম্প্রতি বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে ব্রিটেন সরকার সক্ষম হয়েছে, তবুও একাধিক সমস্যা জর্জরিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হতে উত্তরণে তাদের আরো বহুদূরের পথ পাড়ি দিতে হবে।

তথ্যসূত্র: 
  • https://www.centralbanking.com/central-banking-journal/feature/2481625/central-bank-of-the-year-bank-of-england
  • https://www.aeaweb.org/articles?id=10.1257/jep.31.4.163
  • https://ukandeu.ac.uk/wp-content/uploads/2018/11/The-economic-consequences-of-Brexit.pdf
  • https://newfinancial.org/wp-content/uploads/2019/03/2019.03-New-Financial-Brexitometer-EXT-HIGH-RES.pdf
  • http://www.euromoney.com/Article/3563119/Country-risk-Experts-say-UK-economy-will-quickly-recover-from-Brexit-shock.html
  • http://www.cnn.com/2016/06/27/europe/uk-brexit-jeremy-corbyn-boris-johnson/
  • https://www.reuters.com/article/us-britain-eu-banks-idUSKCN0Z92G8
  • https://www.bbc.co.uk/news/business-45546785
  • https://commonslibrary.parliament.uk/research-briefings/cbp-8039/
  • https://www.theguardian.com/business/2016/jun/23/british-pound-given-boost-by-projected-remain-win-in-eu-referendum
  • https://www.ucl.ac.uk/news/2020/oct/foreign-investment-expected-fall-37-post-brexit
  • https://www.theguardian.com/business/2022/mar/23/uk-inflation-highest-level-in-three-decades
  • https://www.world-today-news.com/the-largest-stock-market-in-europe-is-no-longer-london-but-amsterdam/
Picture

Ashfaque Alam Pronoy 

Ashfaque Alam Pronoy is currently majoring in economics at University of Dhaka. He is a massive fan of Arsenal. He loves to talk about cinema, geopolitics and underrated indie bands. He is interested in Policy making, political economy and wants to pursuit a career in the research field.

Tasnuva Afrin 

Tasnuva Afrin is an Econ freshman of University of Dhaka, A professional procrastinator who manages to do academic stuffs in between dreaming, She loves to talk about the things that include psychology, Greek mythology and Benedict Cumberbatch. If you listen to Sufjan Stevens she is already your fan.

Picture
Picture

Nazmul Alam Arnob

Nazmul Alam Arnob is a mediocre Econ freshman of university of Dhaka, who has been a mediocre for his whole life. From academic stuffs to sports or in co curricular activities an average kid cherish to climb till the mars. In between he loves to read Dan brown and loves to listen John Denver when he feels apathy. This on average kid would love to be lost in a Venus garden.

Tonima Taherin

Tonima Taherin is an Econ freshwoman of University of Dhaka, A solid vagabond to whom left nothing to be dreamt of, Only positive thing of her is she is farsighted and a true thinker.

Picture
0 Comments



Leave a Reply.

    ​

    Archives

    August 2022
    July 2022
    June 2022
    May 2022
    April 2022
    March 2022
    February 2022
    January 2022
    November 2021
    October 2021
    September 2021
    August 2021
    July 2021
    June 2021
    May 2021
    April 2021
    March 2021
    February 2021
    January 2021
    December 2020
    November 2020
    October 2020
    July 2020
    June 2020
    May 2020
    April 2020
    March 2020
    February 2020
    January 2020
    December 2019
    November 2019
    October 2019
    September 2019
    August 2019
    July 2019
    June 2019
    May 2019
    April 2019
    March 2019
    February 2019
    January 2019
    December 2018
    November 2018
    October 2018
    September 2018
    August 2018
    July 2018
    June 2018
    April 2018
    March 2018
    August 2016

    Send your articles to:
    escblogdu@gmail.com
Powered by Create your own unique website with customizable templates.
  • Home
  • About
  • ESC BLOG
  • Publications
  • News and Events
  • Book Archive
  • 3rd Bangladesh Economics Summit
  • 4th Bangladesh Economics Summit
  • Research
  • Executive Committee
  • Digital Library
  • ESC Hall of Fame
  • Monthly Digest
  • Announcements
  • Fairwork Pledge Supporter
  • Contact